हिरण्यगर्भः समवर्तताग्रे भूतस्य जातः पतिरेकासीत ।
स दाधार पृथ्वीं ध्यामुतेमां कस्मै देवायहविषा विधेम ॥
যাত্রার শুরু যে এভাবেই তা বোঝাটা খুব একটা কঠিন নয়। মানবরূপে অস্থিত্ব নিতান্তই আকস্মিক নয় - বহু পথ পের হয়ে, বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজকের বহু কাঙ্খিত শরীর-মানবশরীর। কেবলমাত্র পাঁচটি মৌলিক উপাদানের অনন্ত বিন্যাস আর সমবায়ের এই সৃষ্টি যে স্বর্ণাভ এক গর্ভের মধ্যে ঐশ্বর্য্য সমন্বিত ছিল – এটাই তো স্বাভাবিক। কোনো গাণিতিক নিয়মেই পাঁচ থেকে অনন্ত বিন্যাস বা সমবায় সম্ভব নয় – এ এক উদ্ভাবণী যাদু। এই বিস্ময় - এই যাদু, পৃথিবীর জন্ম দিল এবং দিল জীবকূলের শ্রেষ্ঠ মানুষরূপী এই বিশেষ গঠন। আকারগত মিল-অমিলের মধ্যে উপহারস্বরূপ অন্যান্য জীবজগত থেকে এই গঠন স্বতন্ত্র্য তার বৈশিষ্ট্যে, মস্তিষ্কের চিন্তন ক্ষমতায় এবং সর্বোপরি চৈতন্য শক্তিতে যা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের চেতনাকে সংযুক্ত করে তার আপন মহিমায়। সৃষ্টির গোড়া থেকে মানুষের এ হেন হৃদ্মস্তিষ্কে সে আবার যে হিরণ্যগর্ভের অনুধাবন শুরু করল – আমরা তারই শরিক।
অসীম যখন তার সুবিশাল প্রকাশে ব্যপ্ত উজ্জ্বলতাকে এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিন্দুতে পুঞ্জীভূত করে তখন একটি সম্ভাবনা তার সমস্ত শক্তিকে নিস্তব্ধতায় আবদ্ধ রাখে, আবদ্ধ রাখে তার ব্যক্ত ও অব্যক্ত রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণ-মোহ-মাৎসর্য্য -- আমরা তার আহুতি দিব এক বৃহৎ শিখায় প্রজ্জ্বলিত আগুনে। সেই আগুনের ধোঁয়ায় এক একটি নতুন স্বপ্নের জন্ম হোক, ছোট ও বড় সব স্বর্গ পৃথিবীর উপর বসবাসযোগ্য পূণ্য তীর্থে পরিণত হোক, হিরণ্যগর্ভ তার ঐশী শক্তি দিয়ে স্বর্ণালোকিত করুক মনের সমস্ত জমা অন্ধকার।
সূর্য চন্দ্রের পালা বদলের অঙ্গীকার শরীরে শক্তির কলুষতাকে দূর করে। বাম-ডানের এই অদ্ভুত অরাজনৈতিক মেলবন্ধন নাকের যে সর্পিল পথে ওঠানামা করে তার সাথে একটি সোজা পথের সংযোগ সর্বদা শক্তির কেন্দ্রগুলিকে স্পর্শ করে – আমাদের বহির্মুখী দৃষ্টি তা দেখতে পায় না। এই কেন্দ্রগুলি বৃত্তাকার আবর্তণের মধ্য দিয়ে এক মহান গতি পায়, আমরা সেই গতিময় বাহনের চক্রস্বরূপ। ভাষার মাধ্যমে প্রকাশিত সমস্ত শব্দ যে বৃহৎ নিয়মে ছন্দের অধীন, সেই বৃহৎ ও বিশালাকায় অন্তমিল সমন্বিত কাব্যকে পড়তে পারা ও সমস্ত মুক্তিকামী মানুষের সহায়রূপ করে তোলাই এই ক্ষুদ্র প্রয়াসের একটি বৃহৎ স্বপ্ন।
আকাশের দিকে মুখ তোলা সমস্ত স্বপ্ন খসে পড়ুক এই পৃথিবীর ঘাসের উপর, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোকার উপর, নামহীন অজানা ফুলের উপর । অশ্রুজলে ভেসে যাক আনন্দের প্রকাশ – শুকিয়ে ওঠা লবণে কখনো আবার সমুদ্র বানানো যাবে।।
হিরণ্যগর্ভ পত্রিকার আত্মপ্রকাশ ১৪১২ সালের ১লা বৈশাখ। প্রথম মুদ্রিত সংখ্যা শান্তিনিকেতন থেকে উদ্বোধন করেন বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য মাননীয় সুজিত কুমার বসু মহাশয়।
সঙ্গে ছিলেন পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক শুভ্রদেব সেন ও পার্থ গুপ্ত। পত্রিকার প্রথম সংখ্যা পাঠকের মনে যথেষ্ঠ সাড়া ফেলতে সমর্থ হয়। দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশের প্রাক্কালে সম্পাদক শুভ্রদেব সেন কর্মসূত্রে পন্ডিচেরী চলে যান এবং পত্রিকার কাজে ছেদ পড়ে।
দীর্ঘ পনের বছর পর শুভ্রদেবের পরিকল্পনায় ও পৌলোমী সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছায় ১৪২৭ এ আবার হিরণ্যগর্ভ প্রকাশ হতে চলেছে ইলেকট্রনিক ও ওয়েবসাইট মাধ্যমে। সঙ্গে আছেন বীথি, মিহির, ও সুভমের মতো সাহিত্যপ্রেমী সম্পাদকেরা, বাংলাভাষার গুণগ্রাহী সম্ভাব্য পাঠকদের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ এবং সর্বোপরি ঐশী শক্তি।।
কলম ও কালি মাধ্যমে পত্রিকার সামনের আবরণের অলঙ্করণ করেন শিল্পী রুদ্রদেব সেন
প্রথম সংখ্যার প্রকাশ ১ লা বৈশাখ, ১৪১২ (প্রিন্টেট) শান্তিনিকেতন থেকে। এখন ই-ম্যাগাজিন যা ত্রৈমাসিক প্রকাশ হয় (বৈশাখ, শ্রাবণ, পুজো এবং পৌষ) একমাত্র এই ওয়েবসাইটে। হিরণ্যগর্ভ একটি সম্পূর্ণ সাহিত্য পত্রিকা যা বাংলা ভাষাতে প্রকাশিত হয় এবং প্রত্যেক সংখ্যাই বিষয়ভিত্তিক। “চরৈবেতি” ও “তুলিকলম” এর নিয়মিত পাতা। প্রত্যেক সংখ্যার বিষয় অনেক আগেই আমাদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে জানানো হয়। বিষয়ের বাইরে লেখা আমরা গ্রহণ করি না।
লেখা মনোনয়নের পদ্ধতির বিষদ বিবরণ এই ওয়েবসাইটের “লেখা পাঠান” পাতাতে দেওয়া হল।।
প্রকাশ: ৫ই কার্তিক, ১৪২৭
প্রকাশ: ২২ শে শ্রাবণ, ১৪২৭
পড়বার জন্য CLICK করুন বর্তমান সংখ্যা
হিরণ্যগর্ভ (বাংলা সাহিত্য পত্রিকা)
বেঙ্গালুরু - শিলিগুড়ি
+৯১-৯৯৪৬১৮৬২৩১/ +৯১-৯৭৩৪০০৯৪৪০
Copyright © 2021 hiranyagarvo - All Rights Reserved
Web Design & Concept by Subhradev Sen
An offering of "Hiranyagarvo Publication House"